দীর্ঘ ৯ বছর পেরিয়ে গেলেও ৩৪তম বিসিএস পরীক্ষায় উর্ত্তীণ মেধাবী প্রার্থীদের আজও নিয়োগের ব্যবস্থা করেনি সরকারের নিয়োগকারি সংস্থা পিএসসি। ফলে নিয়োগ বঞ্চিত এসব প্রার্থী হতাশায় ভুগছেন। তাই বর্তমান অর্ন্তবর্তীকালিন সরকারের মাননীয় উপদেষ্টাগণের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে ৩৪তম বিসিএস পরীক্ষায় উর্ত্তীণ মেধাবী প্রার্থীদের দ্রুত নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে। তারা দেশ সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করতে চায়।
জানা যায় ৩৪তম বিসিএস পরীক্ষায় কোটার প্রার্থীদের জন্য ৬৭২ টি পদ সংরক্ষিত রেখে তৎকালিন পিএসসি নিয়োগ কমিটি দুর্নীতি করে, স্বৈরাচারির আশ্রয় নিয়ে নিয়োগ বঞ্চিত করেছিল এসব প্রার্থীদের। পিএসসি’র পক্ষপাতিত্বের কারনে বিসিএস এর মত প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় দীর্ঘ ৩ বছরের বেশি সময় ধরে প্রিলিমিনারী , লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় সফলতার সাথে উর্ত্তীণ হয়েও তাদেরকে দেশ সেবায় আত্ননিয়োগ থেকে বঞ্চিত করা হয়েছিল।
মেধাবী এসব চাকরি প্রত্যাশী প্রার্থীরা আশায় বুক বেধেছিলেন দেশসেবায় নিজেকে নিয়োজিত করতে। প্রত্যাশিত চাকরিতে যোদানের মাধ্যমে হাসি ফোটাতে চেয়েছিলেন পিতা-মাতা তথা পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের মুখে। কিন্তু পিএসসি’র বেমাতা সুলভ আচরণ ও হটকারিতা তাদের সাথে যেমন অন্যায়ের সামিল তেমনি স্টাফ সংকটের কারনে সাধারণ নাগরিকদের সেবা হতে বঞ্চিত করার অপচেষ্টাও বটে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চাপে স্বৈরাচারি সরকারের পতনের ফলে আশা জেগেছে এসব নিয়োগ বঞ্চিত প্রার্থীদের মনের কোঠরে। ৬৭২টি পদ কোটাপ্রার্থীদের জন্য সংরক্ষিত রেখে ক্যাডার সার্ভিসে পদ স্বল্পতা দেখিয়ে এসব মেধাবী প্রার্থীদের রাখা হয়েছিল নন-ক্যাডার নামক মরিচিকার তালিকায়।
এদিকে পরিবারের বৃদ্ধ মা-বাবা আশায় বুক বেধেছিল তাদের সন্তানরা চাকরী পেয়ে তাদের মুখে দুবেলা দুমুঠো খাবার তুলে দিবে। কিন্তু সরকার ও পিএসসি’র বৈরী আচরণে তাদের আশার প্রদীপ নিভতে শুরু করলেও স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে দেশে স্বৈরাচারি সরকারের পতনের পর অর্ন্তবর্তী সরকারের আগমনে।
মন্ত্রনালয়ের এক সূত্র হতে জানা যায় সরকারি চাকরিতে বর্তমানে পাঁচ লাখ এর অধিক পদ খালি রয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ তথ্য বলছে সরকারি চাকরিতে অনুমোদিত পদের প্রায় ২৬ শতাংশই খালি যা সংখ্যায় পাঁচ লাখের বেশি।
৩৪তম বিসিএস উর্ত্তীণ একাধিক প্রার্থী বলেছেন অর্ন্তবর্তীকালিন সরকারের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা সহ অন্যান্য উপদেষ্টাগণ বিষয়টি মানবিক দৃষ্টিতে দেখে দ্রুত নিয়োগ বঞ্চিত এসব প্রার্থীদের নিয়োগের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। মাননীয় উপদেষ্টাগনের সদয় সহানুভূতি ও আশুহস্তক্ষেপ কেবলমাত্র হাসি ফুটাতে পারে এসব চাকরি বঞ্চিত পরিবারের বৃদ্ধ বাবা-মা ও সদস্যদের মুখে।