গোপালগঞ্জ চেম্বারের প্রতিনিধি ফাহিম এফবিসিসিআই সভাপতির দায়িত্বে সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিনের স্থলাভিষিক্ত হন। মাল্টিডিসিপ্লিন প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট ও ইঞ্জিনিয়ারিং প্রকিউরমেন্ট কোম্পানি অবসিডিয়ান বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফাহিম ইউরো পেট্রো প্রডাক্ট লিমিটেডের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে রয়েছেন। বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের নির্বাহী কমিটিরও সদস্য তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট এডওয়ার্ড ইউনিভার্সিটি ইন অস্টিন থেকে লিবারেল আটর্স ইন পলিটিক্যাল ইকোনোমিতে স্নাতক করা শেখ ফজলে ফাহিম মাস্টার্স করেছেন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। কনফেডারেশন অব এশিয়া প্যাসেফিক চেম্বারস অব কামার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং সার্ক চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের নির্বাহী কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতাও তার রয়েছে। সম্প্রতি বাংলাদেশের চলমান ব্যবসা বাণিজ্যের নানা গতি প্রকৃতি নিয়ে কথা বলেন শেখ ফজলে ফাহিম।
প্রশ্ন: ভেজাল পণ্যে ভেজাল বাণিজ্য রমজানের সময়ে বেড়ে যায়। এই অবস্থা থেকে আমরা কিভাবে বেরিয়ে আসতে পারি?
শেখ ফজলে ফাহিম: ফুড অ্যাডালটারেশন অথবা ভেজাল একটি অ্যাক্ট অব ক্রাইম। এটাকে শক্তভাবে হ্যান্ডেল করা দরকার। কারণ এতে অ্যাফেক্টেড কোন একটি শ্রেণী না। বাংলাদেশের প্রতিটি শ্রেণী প্রতিটি নাগরিক, আমাদের সন্তান, ভাইবোন আত্মীয় স্বজন সবাই এর ভুক্তভোগী। এটাকে আমরা ব্যবসা হিসেবে দেখছি না।এটি বেসিক্যালি ক্রিমিনাল অ্যাক্ট। যে কোন ক্রিমিনাল অ্যাক্টকে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া উচিত বলে আমি মনে করি।
প্রশ্ন: কিন্তু ভেজালকে নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না- কেন?
শেখ ফজলে ফাহিম: এটি কোনো সিজন্যাল বিষয় না। রেগুলেটরি ইস্যু সারা বছর জুড়ে প্র্যাকটিস করা দরকার। নিউজ রিপোটিংয়ে এটি প্রাধান্য অনেক বেশি পাচ্ছে এখন। পলিটিক্যাল ইন্সটিবিলিটি বাংলাদেশে হয়তো কম। নতুন নতুন অনেক জিনিসের উপরে আমরা ফোকাসড হচ্ছি টার্মস অব সোশ্যাল ইস্যু। কিন্তু আমরা এফবিসিসিআই থেকে যেটা করেছি- কেমিক্যাল নিয়ে যে আলোচনা খাবারে পাওয়া গেছে- রেসপেকটিভ টেক্সটাইল বা কেমিক্যাল যারা আমদানী করে তাদের সাথে আমাদের টীম বসেছিল। তাদের কাছ থেকে আমরা বুঝতে চেষ্টা করেছি যে, বিষয়টা কী? কিভাবে টেক্সটাইল কেমিক্যাল খাদ্যে যাচ্ছে? এখানে কোনো সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা আমরা পাইনি। এখানে এসেছে যে, রেগুলেটরি যে বডিগুলো আছে তাদের হয়তো বা লোকবলে সমস্যা আছে- এটি আমরা জানতে পারলাম। এই ধরণের প্রসেস স্ট্যান্ডাইজেশন খুবই প্রয়োজন। কারণ গ্লোবাল ভ্যালু চেইনে যদি বাংলাদেশকে নিতে চান তাহলে গ্লোবাল স্ট্যান্ডার্ডে আসতে হবে।