• December 26, 2024, 2:19 pm

মেধাবী ছাত্র ফয়সাল হারাতে বসেছে তার এক চোঁখের দৃষ্টি

বিশেষ প্রতিনিধিঃ 57 Time View :
Update : Saturday, August 24, 2024

যে মহুর্তে পড়াশুনা শেষ করে, বাবা মোহাম্মদ এনামুল হকের অভাবী সংসারের হাল ধরবে, সে সময়ে সংসারে ফিরলো বোঝা হয়ে। দুই ভাই এক বোনের মধ্যে ফয়সাল সবার বড়।

সে বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজের ইতিহাস বিভাগ অনার্স ৪র্থ বর্ষের ভাইবা শেষ করেছেন জুন মাসের শেষের দিকে, স্বপ্ন ছিল চাকুরী করে সংসারের হাল ধরবেন।

কিন্তু বিধিবাম, আশায় গুড়েবালী, আজ নিরাশার মহাসাগরে নিমজ্জিত হয়ে আছে এক আঁশাহীন তরী, অবস্হান করছেন গাইবা›ধা জেলার গোবিন্দগন্জ উপজেলার কামদিয়া ইউপির মানিকপুর এলাকার গ্রামের বাড়ীতে।

ছোট বোন রিমা খাতুন পড়াশুনা করে আলিম শ্রেনীতে আর ছোট ভাই মোঃ হোসেন পড়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে, বাবার কৃষিকাজ দিয়েই, ভেবেছিল ছেলে তার সংসারে কিছুটা অবদান রাখবেন, তা আর হলো কোথায়?

গত ১৬ই জুলাই রংপুরে ছাত্র আবু সাইদ হত্যা হবার পর, এর মধ্যে শুরু হলো দেশব্যাপী বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন বেগমান হলো, সে বৈসম্যের বন্চনা থেকে সবাইকে মুক্ত করতে অংশ গ্রহন করলেন আন্দোলনে।

১৮ই জুলাই সহ-ছাত্রদের সাথে বগুড়া শহরের কেন্দ্রবিন্দু সাতমাথায় জড়িয়ে পড়েন পুলিশের সাথে ধাওয়া, পাল্টা-ধাওয়া, এক পর্যায়ে পুলিশ তাদেরকে তাক করে ছোড়েন রাবার বুলেট, লাগে তার চোখে।

সাথে সাথে তাকে ভর্তি করা হয়, বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে। সেই দিনেই তাকে স্হানানÍর করা হয় ঢাকা ইসলামীয়া চক্ষু হাসপাতালে, অপারেশন হয় ১৯ জুলাই। তারপর থেকে বাম চোখে কিছুটা দেখলেও ডান চোখে হারিয়েছেন দৃষ্টি।

বাবা মোহাম্মদ এনামুল হক বলেন, ইতিমধ্যে তার দরিদ্য পিতা ৮০ হাজার টাকা খরচ করেছেন। এদিকে আগামী ১লা সেপ্টেম্বরে তাকে আবার ঢাকায় যেতে হবে। এখন পিতা অসহায় কিভাবে চিকিতসা করবেন সেটা ভেবে পাচ্ছেন না।

শনিবার দুপুরে তাকে দেখতে বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর খন্দকার কামাল হাসান, ইতিহাস বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর শওকত আলম মীর, শিক্ষক পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ডঃ গাজী তৌহিদুল আলম চৌধুরী সহ অন্যান্য শিক্ষকগন।

তাঁরা শিক্ষার্থী, তার পরিবারের সদস্যদেরকে সমবেদনা জানান এবং আর্থিক সহযোগীতা করেন। ফয়সালের পিতা সবার কাছে ছেলের জন্য দোয়া চেয়েছেন যাতে আবার তার ছেলে আবার দেখতে পারে।


More News of this category