রাজশাহী জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও রাবি ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু ভারতে অনুপ্রবেশের সময় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) হাতে গ্রেফতার হয়েছে। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আত্মগোপনে ছিলেন রনু।
শনিবার সন্ধ্যায় কলকাতার দৈনিক আনন্দবাজারের অনলাইনে এ খবর প্রচার করা হয়। খবরে ফয়সালের নাম লেখা হয়েছে ‘ফয়জল’। আর গ্রামের বাড়ি রাজশাহীর পবা উপজেলার নাম লেখা হয়েছে ‘পাওয়া’। অন্য সব তথ্য ফয়সাল আহমেদেরই।
খবরে বলা হয়েছে, গত ২ নভেম্বর দুপুরে পশ্চিমবঙ্গের মালদহের হবিবপুর বøকের টিকাপাড়া ও কেদারিপাড়ার মধ্য দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশের সময় সীমান্তে বিএসএফ তাকে আটক করে। এর আগে বাংলাদেশ সীমান্ত টিকাপাড়া ও কেদারিপাড়া বর্ডার আউটপোস্টের মাঝখান দিয়ে উম্মুক্ত সীমান্ত পথে ভারতে অনুপ্রবেশ করেন ফয়সাল।
ওই দিন বিকালে তাকে হবিবপুর থানা পুলিশের হাতে তুলে দেন বিএসএফ সদস্যরা। পরের দিন পুলিশ তাকে আদালতে হাজির করে রিমান্ড চায়। বিচারকের নির্দেশে প্রথমে তিন দিন এবং পরে বুধবার আরও পাঁচ দিনের জন্য রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে রুনুকে।
মালদহের পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদবের বরাতে আনন্দবাজারের খবরে আরও বলা হয়েছে, ফয়সালকে জেরা করা হচ্ছে। পাশাপাশি তদন্ত চলছে। জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে, ফয়সাল ২০১৬ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত সম্প্রতি নিষিদ্ধ হওয়া ছাত্রলীগের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
ফয়সাল ভারতীয় পুলিশ ও বিএসএফের কাছে দাবি করেছেন, বাংলাদেশে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর তিনি প্রায় দুই মাস দেশের বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপনে ছিলেন। পরে প্রাণ বাঁচাতে ভারতে পালিয়ে যান।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ফয়সাল আহমেদ রুনুর বাড়ি রাজশাহীর পবা উপজেলার নওহাটায়। তার বাবা আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল গফুর সরকার তিনবারের ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। ২০০৮ সালে নওহাটা পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হন তিনি। তার ছেলে ফয়সাল আহমেদ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ভর্তি হওয়ার পর থেকে জড়িয়ে পড়েন ক্যাম্পাসের ছাত্র রাজনীতিতে।
সবশেষ ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে সম্মেলনের মাধ্যমে তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন এবং দায়িত্বে ছিলেন ২০২৩ সাল পর্যন্ত। গত জুনে তিনি রাজশাহী জেলা যুবলীগের