পঞ্চগড়ে ছোট দানাদার পুষ্টিকর ফসল কাউন।বর্তমান বিজ্ঞানের যুগে কাউন চাষ হারিয়ে যেতে বসেছে।আগে মত এখন আর ফসলি জমিতে কাউন চাষ করা হচ্ছে না। তবে দুর অতীতে কৃষকরা খোরা মৌসুমে বেলে ও দোআশ মাটি কাউন চাষ করত।
বর্তমান বিজ্ঞানের যুগে কৃষি চাষ ও কৃষি জমিতে অধিক ফলন লাভের আশায় কৃষকরা কাউন চাষের প্রয়োজনীয়তা থেকে নিরুৎসাহিত হচ্ছে। এ জেলায় প্রায় কুড়ি বছর পুর্বে কাউন চাষের ব্যাপক প্রচলন ছিল। গ্রামের দরিদ্র জনগোষ্টির নিকট কাউনের ভাত প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় ছিল। সময়ের ব্যবধানে প্রযুক্তির উৎর্কষ সাধনে কাউন চাষকে পিছনে ফেলে সামনে চলছে তিন ফসল উৎপাদনের প্রতিযোগিতা ।
কাউন একটি পুষ্টিকর মজাদার ফসল। কাউন দিয়ে তৈরী হয় সুস্বাদু খাবার। কাউনের চালে পায়েস,বিস্কুট এবং পারিবারিক পুষ্টি পুরণ করা সম্ভব হয়। দানাদার জাতীয় ফসল হিসাবে কাউনের চাহিদা শহর ও গ্রাম সব খানে রয়েছে। চাষীরা কাউন উৎপাদন করে বাজারে বিক্রী করে বাড়তি আয় করার প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে।
কাউনের গাছ দিয়ে জমিতে ভালো মানের সার উৎপাদন করা সম্ভব হয়। এ সার জমিতে উর্বরা শক্তি বৃদ্ধি করে।পঞ্চগড় জেলা ঘুরে দেখা যায় অত্যাধুনিক যুগে কিছু কিছু চাষী ছোট দানাদার পুষ্টিকর কাউন চাষ করেছে। নতুন প্রজন্মের মাঝে পরিচিতি ধরে রাখার জন্য কাউন চাষ ও মনোযোগ সৃষ্টির জন্য কাউন চাষের প্রয়োজন রয়েছে।
পঞ্চগড়ে প্রতি বছর মাঘ মাস থেকে ফালগুন মাস পর্যন্ত সব উচু জমিতে কাউনের বীজ বপন করা হয়। কাউন চাষের জন্য বেলে ও দো-আশ মাটি খুবেই উপযোগি। পানি জমে এ রকম মাটি কাউন চাষের জন্য উপযোগি নয়।কাউনের বীজ সিটিয়ে ও সারিতে বপন করা যায়। কাউনের বীজ মাটিতে বপনের পর থেকে ৯০ থেকে ১১৫ দিনে কাউন পাকে। কাউনে প্রতি বিঘা জমিতে ২ হাজার থেকে দুই হাজার পাচ টাকা খরচ হয়।
জমি ভেদে প্রতি বিঘা(৩৩ শতক) জমিতে ৬ থেকে ৭ মন কাউন উৎপাদন হয়ে থাকে।প্রতি মন কাউনের বাজার মুল্য ১ হাজার থেকে ১ হাজার দুই শত টাকা।
পঞ্চগড় জেলা কৃষি সম্প্রসার অধিদপ্তরের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা জয়দের বর্মন বলেন, কাউন একটি পুষ্টিকর মজাদার খাদ্য। কাউনের চাল বাজারে ৪০ টাকা দরে বিক্রী হচ্ছে। এ ফসলটি সব ধরনের মাটি চাষ করা যায়। সব রকমের রবি শস্যে চাষাবাদ করতে কৃষকদের পরামর্শ প্রদান করা হয়ে থাকে।