চারিদিকে সুনসান নীরবতা!
সূর্যমামা দাত কেলিয়ে হাঁসছে,
সাগরকন্যা কুয়াকাটার
বেলাভূমির তপ্ত বালি চিকচিক করছে।
যেমনি চিকমিক করছে আমার মনে
স্মৃতিকণাগুলো তোমার!
বার বার বিক্ষুব্ধ ঊর্মিমালা
যেমন করে বেলাভূমির বুকে
আছড়ে পড়ে বেলাভূমিকে বিধ্বস্ত করে;
তেমনি করছে সে বারে বারে!
তাঁর স্মৃতিমালাগুলোও আমার
হৃদয়ের তন্ত্রীগুলো ছিঁড়ে
আমাকে কুড়ে কুড়ে মারে!
সানগ্লাসটা দু’চোখকে ভালোবেসে
আগলে রেখেছে আমাকে
এই দুঃসহ তাপদাহ থেকে।
যেমনি তুমি আগলে রাখো
আমার দুঃখ সাগরের বাঁকে।
একটি গাছের আংশিক ছায়ায়
আমি ঠায় দাঁড়িয়ে;
দৃষ্টি দিগন্তরেখায়
আকাশ-সাগরের মিলন প্রান্তে।
এক সময় একটা গোটা আকাশ ছিল
আমার হৃদয়সীমান্তে!
আজ সে দূরে বহুদূরে!
জানি না কেমন আছে;
কোথায় আছে?
হয়তো সে তাঁর কক্ষপথে ঘুরছে।
আর সারাক্ষণ আমার কথাই ভাবছে।
মুখ ফুলিয়ে রাগ করে বসে আছে।
আমিও প্রতিকূলে অনুকূলে সারাক্ষণ
তাঁর কথা ভাবছি।
আমি সারাক্ষণ তাঁর অনুভবে থাকি
সেটা সে খোলামেলা প্রকাশ করে।
সে-ও তো সারাক্ষণ আমার অনুভবে
থাকে, সেটা অনুচ্চারিত ও অপ্রকাশিত।
এ কথা তাকে
বোঝাই কেমন করে!
এই নির্মল সহজ-সরল পাগল
আমাকে ধন্য করেছে
অন্তর তাঁর অতি সুনির্মল।
সে আমায় রিক্ত করেছে
সিক্ত করেছে, অনেক করেছে ঋণী।
আমি তা কায়মনে মানি,
দিবস যামিনী।
সে যে বড্ড অভিমানী
আমার সকল সুখ-দুঃখের
কান্না-হাসির রাগিনী!