বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় অ্যাসিসটেন্ট সেক্রেটারি জেনারেল ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেছেন, ফ্যাসিষ্ট হাসিনাকে উৎখাত করতে জুলাই বিপ্লবে হাজার হাজার নেতাকর্মী শহীদ এবং লক্ষ লক্ষ মানুষ আহত হয়েছে। যে জমিনে রক্ত ঝরেছে সেখানে ফ্যাসিবাদকে ফিরে আসতে দেয়া হবে না।
এ ধরনের খবর গণমাধ্যমে দেখা গেলেও কোন সম্ভাবনা নেই। তিনি বলেন, বিগত ৫৩ বছর দেশে অনেক সরকার এসেছে। কিন্তু জনগণের ভাঘ্যের কোন পরিবর্তন হয়নি। তাই দেশের মানুষ সৎ, যোগ্য ও দক্ষ নেতৃত্ব চায়। আমরা কোন চাঁদাবাজি করব না, কাউকে করতেও দেব না। জনগণের সেই আকাঙ্খা পূরনের জন্য জামায়াত-শিবিরকে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করতে হবে। জামায়াত ক্ষমতা গেলে আমরা রাজা না হয়ে জনগণের সেবক হবো ইনশাআল্লাহ।
এই জমিনে ইসলাম বিজয়ের পতাকা না উড়া পর্যন্ত যে কোন ত্যাগ ও কুরবানী দিতে জামায়াত-শিবিরের প্রতিটি নেতা-কর্মী সবসময় প্রস্তুত আছে । তিনি শনিবার বগুড়া শহরের শহীদ টিটু পৌর পার্ক মিলনায়তনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বগুড়া শহর শাখা আয়োজিত ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কর্মী, সাথী ও সদস্যদের মিলনমেলায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
বগুড়া শহর জামায়াতের আমীর অধ্যক্ষ আবিদুর রহমান সোহেলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সদ্যবিদায়ী কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম ও জামায়াতের বগুড়া অঞ্চল প্রধান অধ্যাপক নজরুল ইসলাম। বগুড়া শহর জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যাপক আ স ম আব্দুল মালেক এবং সাবেক ছাত্রনেতা হেদাইতুল ইসলামের পরিচালনায় অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন মাওলানা জামায়াত নেতা মাওলানা আলমগীর হোসাইন, সাবেক শিবির নেতা মিজানুর রহমান, নুরুল আমীন সরকার, আব্দুস সালাম তুহিন, আনিছুর রহমান, অধ্যাপক রফিকুল আলম, মো: সেলিম রেজা, আব্দুল কাদিম, আলাউদ্দীন সোহেল, আল আমিন, আজগর আলী, ইকবাল হোসেন, অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম আকন্দ, মেহেদী হাসান প্রমুখ।
প্রধান অতিথি বলেন, যে ফ্যাসিবাদী শক্তি জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করেছিল, আজ তারাই জনগনের কাছে নিষিদ্ধ হয়ে গেছে। জামায়াত-শিবির সকল বাধা অতিক্রম করে তার লক্ষ্য পানে এগিয়ে যাচ্ছে। যতই উঁকিঝুকি মারুক পালিয়ে যাওয়া ফ্যাসিবাদ আর কখনোই দেশে ফিরতে পারবেনা। এমনকি যারা ইসলামী আন্দোলনের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছেন তারা কোনদিনও সফল হতে পারবেন না। আগামী দিনে এই জাতিকে সৎ, দক্ষ, চাঁদাবাজমুক্ত নেতৃত্ব উপহার দিতে আপনাদেরকে সামনে এগিয়ে আসতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সদ্যবিদায়ী কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন শিবিরকে বাদ দিয়ে জুলাই বিপ্লবের কোন ইতিহাস লেখা হতে পারে না। শাহাদাতের তামান্না নিয়ে রাজপথে দাঁড়িয়ে হাজার হাজার প্রাণের বিনিময়ে যে ফ্যাসিবাদকে তাড়ানো হয়েছে তা আর কোনদিন ফিরে আসতে পারবে না। দেশী বিদেশী কোন ষড়যন্ত্র সফল হবেনা। ইসলামী ছাত্রশিবির প্রয়োজনে আবারো শাহাদতের শপথ নিয়ে রাজপথে দাঁড়িয়ে যে কোন ফ্যাসিবাদকে কবর দিবে ইনশাআল্লাহ। এ মিলনমেলায় ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক আড়াই হাজারের অধিক নেতা-কর্মী অংশ গ্রহন করেন। বক্তব্য শেষে বর্নাঢ্য র্যালি বগুড়া শহর প্রদক্ষিন করে। এ ছাড়া বিকেলে জাতীয় ও স্থানীয় শিল্পীদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।