শত্রুতামূলক ভাবে ধানের পালা পোড়ানোর প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার দুপু রে বগুড়া প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন শাজাহানপুর উপজেলার ঘাষিড়াদোগলাপাড়া গ্রামের মৃত আবেদ আলী প্রাং এর ছেলে সুলতান আবু সাইদ। তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন, গত ০৫/১২/২৪ইং তারিখে আমার বাড়ির খোলায় ১০ বিঘা জমির ধান কামলা দ্বারা আনিয়া রাখি মাড়াই করার জন্য। রাত্রী অনুমান ৩.৪৫ মিনিটের দিকে আমার ছোট ভাই মোঃ আবু বক্কর সিদ্দিক ধান পোড়ার শব্দ শুনিয়া ঘরের জানালা দিয়ে দেখতে পায় ধানে কে বা কাহারা আগুন লাগাইয়া দিয়েছে।
তখন সে ঘরের বাহিরে বাহির হইয়া চিৎকার করিলে আশেপাশের লোকজন আসিয়া আগুন নিভানোর জন্য সহযোগিতা করলে আগুন নিভানো সম্ভব হয়। ততোক্ষনে প্রায় ৭বিঘা জমির ধান পুড়ে ভষিভ‚ত হয়, এতে আমার প্রায় আনুমানিক (১৫০০০০) এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকার ক্ষতিসাধন হইয়াছে। এই মর্মে গত ০৭-১২-২৪ ইং তারিখে শাজাহানপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। তারিই পরিপেক্ষিতে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
থানা পুলিশ কোন কুলু উদ্ধার করতে না পারায় পুনরায় আবার গত ১০-১২-২৪ ইং তারিখে পরিদর্শন করে। পুলিশ ঘটনাস্থল ত্যাগ করার পর অনুমান সন্ধা ৭ ঘটিকার সময় আমার পাড়ার (১) মোঃ খোকন,পিতা-মৃত আকবর আলী (২) মুক্তার পিতা-আব্দুল কুদ্দুস (৩) আইয়ুব আলী পিতা, আব্দুস সালাম (৪) আব্দুল কুদ্দুস, পিতা-মৃতু শুকুর মাহমুদ এর নেতৃত্বে আরো ১০/১২ জন সন্ত্রাসী ধারালো দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমার বাড়িতে হামলা চালায়। প্রাণ নাশের ভয়ে আমার বাড়ির লোকজন ঘরের দরজা জানালা বন্ধ করে কান্নাকাটি করতে থাকে।
আমি ভয়ে অন্যত্র পালিয়ে যাই। প্রতিবেশীরা আগাইয়া এসে ৯৯৯ নং এ ফোন দিয়ে পুলিশকে অবহিত করলে অনেক পরে পুলিশ এসে উপস্থিত হয়। ততোক্ষনে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়, যাওয়ার সময় তারা হুমকী দিয়ে যায়, যেখানে সুলতানকে পাবো মেরে ফেলবো। উল্লেখ থাকে যে গত ৪ঠা অক্টোবর ২০২৪ইং তারিখে পূর্ব শত্রæতার জের ধরে উপরে ইল্লেখিত ব্যক্তিরা আমার পরিবারে লোকজন সহ আমাকে মারধর করেছিল, তখন আমি তাদের বিরুদ্ধে শাজাহানপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছিলাম।
সেইসুত্র ধরে আবারও আমার বাড়ির লোকজন সহ আমার উপর হামলা চালায়। এমতাবস্থায় আমি ও আমার বাড়ির লোকজন প্রাণ নাশের ভয়ে চলাফেরা কাজকর্ম কোন কিছুই করিতে পারিতেছিনা। তাই সাংবাদিক ভাই গণের কাছে আমার আকুল আবেদন আমার এই সংবাদ সন্মেলন পাঠ আপনাদের লিখনির মাধ্যমে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি।”