দুপচাঁচিয়া-আদমদিঘীকে মডেল উপজেলা করতে বিএনপি’র সংসদ সদস্যের বিকল্প নেই। বিগত ১৫ বছরের অধিককাল শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদ ও স্বৈরাচারি শাসনামলে জনগণের উপর চলেছিল যুলুম ও নির্যাতন। মানুষ হারিয়েছিল বাক-স্বাধীনতা। সেই সাথে দেখা দিয়েছিল গণতান্ত্রিক চর্চার অভাব, ক্ষমতার অপব্যবহার ও কালো টাকার প্রভাব। হাসিনার পতনের পর সকল শ্রেণির পেশার মানুষ আবার নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছেন।

তারেক রহমানের বলিষ্ট নেতৃত্বে একটি সুখি ও সমৃদ্ধ সমাজ গড়ার প্রত্যয়ে কাজ করছি । আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া- ৩ দুপচাঁচিয়া-আদমদিঘী এলাকার বিএনপি থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী বগুড়া বার সমিতির সভাপতি ও বগুড়া আইন কলেজের সভাপতি এবং বিএনপি নেতা সিনিয়র আইনজীবী মো. আতাউর রহমান খান (মুক্তা) এসব কথা বলেন ।

এদিকে বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত বগুড়ার দুপচাঁচিয়া-আদমদিঘী আসনে নড়েচড়ে বসেছে জামায়াতের প্রার্থী। আসন্ন নির্বাচনকে ঘিরে দল গোছাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন দলটির নেতারা। সাংগঠনিক শক্তি মজবুত করতে পাড়া-মহল্লা থেকে শুরু করে উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিয়ত নানা কার্যক্রম পরিচালনা করছেন তারা। অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় এখন দুপচাঁচিয়া-আদমদিঘীর জামায়াত অনেকটায় শক্তিশালী। এমন দাবি করেছে জামায়াতের তৃণমূল নেতাকর্মীরা। তারা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিজেদের দলীয় প্রার্থী চান।

নিরপেক্ষ নির্বাচনকে সামনে রেথে ইতোমধ্যে আতাউর রহমান খান দুপচাঁচিয়া উপজেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান, সুধিজন ও সুশীল সমাজে নেতৃত্বদানকারি অংশীজনদের সাথে আলোচনা ও মতবিনিময় করছেন। ভোটাধিকার প্রয়োগ করে তাঁকে নির্বাচিত করার স্বপ্ন দেখছেন এলাকার আপামোর জনসাধারণ।
বিশেষ করে ২০১৮ সালে বিএনপি থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী বিশিষ্ট শিল্পপতি সুলতান মাহমুদ চৌধুরী ওরফে আমির চৌধুরী, বগুড়া বারের সিনিয়র আইনজীবী ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম বগুড়া ইউনিটের সাবেক সভাপতি এ্যাডভোকেট শেখ মো. মোখলেছুর রহমান সহ বিএনপির আইনজীবী নেতারা তাকে সাধুবাদ জানিয়ে পাশে থাকারও আশ্বাস প্রদান করেছেন।

সুশীল সমাজের প্রতিনিধি বলেন আমরা বগুড়া- ৩ দুপচাঁচিয়া-আদমদিঘী এলাকার জনগনের ভাগ্যের পরিবর্তনে মো. আতাউর রহমান খান এর বিকল্প কাউকে খুজে পাচ্ছি না। যদি বিএনপি’র সিনিয়ির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান তাঁকে দলীয় মনোনয়ন দেন তাহলে আমরা বিপুল ভোটে বিজয়ী করতে পারব বলে আশা রাখছি।

সাংবাদিকদের প্রশ্নে জবাবে মো. আতাউর রহমান খান (মুক্তা) বলেন তাঁর মূল লক্ষ্য শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্বপ্নপুরনে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক অধিকার, মানবাধিকার এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা। প্রতিনিয়ত উপজেলা, ইউনিয়নসহ বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় গিয়ে মানুষের পাশে থেকে সেবা করতে চাই।