বগুড়ার সোনাতলায় যমুনা নদীতে পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে নদী তীরে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড কিছু কিছু স্থানে বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলেও ভাঙনরোধ করতে পারছে না। বাড়িঘর হারিয়ে অনেকে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। অনেকের বাবা-দাদাসহ পৈতৃক পুরুষের কবরও নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। এতে নদী পারের মানুষের মাঝে নতুন করে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। ভুক্তভোগীরা স্থায়ীভাবে নদী ভাঙন ঠেকাতে সরকারের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত কয়েক দিন ধরে পূর্ব বগুড়ার সোনাতলা উপজেলায় যমুনা নদীতে পানি কমতে থাকায় তীরে ভাঙন দেখা দিয়েছে। শুক্রবার উপজেলার পাকুল্যা ইউনিয়নের মির্জাপুর, পূর্ব সুজাইতপুর, রাধাকান্তপুর, আমতলী, মুশারপাড়া, আউচারপাড়া, মহব্বতেরপাড়া, জন্তিয়ারপাড়া, সরলিয়া, পূর্ব তেকানী, চুকাইনগর নদী তীর ভাঙছে। প্রায় ১৮ বছর ধরে নদীর অব্যাহত ভাঙনে মানচিত্র থেকে বিলীন হয়ে গেছে ওই গ্রামগুলোর কিছু অংশ। আউচারপাড়া ও তার আশপাশের এলাকার তিন শতাধিক মানুষ তাদের বাড়িঘর অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে গেছে। এছাড়াও হাট-বাজার স্থানান্তর করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে যমুনা নদী খনন না করায় নদীর গভীরতা হ্রাস পেয়েছে। যার ফলে প্রতি বছর বন্যার সময় ও বন্যাপরবর্তী নদী অব্যাহত ভাঙনে শত শত একর আবাদি জমি, গাছপালা, বাড়িঘর নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড নদী ভাঙন রোধে শুষ্ক মৌসুমে কোনো ভ‚মিকা না নিলেও বর্ষা মৌসুমে এসেও নামে মাত্র জিও ব্যাগ ও বাঁশ পাইলিং করে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা করে থাকে।
এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী হাসানুজ্জামান বলেন, তাৎক্ষণিক প্রয়োজনে আমরা কিছু জিও ব্যাগ মির্জাপুরে নদীতে ফেলেছি। তিনি আশা করেন, এতে ভাঙনরোধ হবে।