জেলা তথ্য অফিস, বগুড়া এর আয়োজনে এবং ইউনিসেফ এর সহযোগিতায় জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে সচেতনতা এবং ক্যান্সার প্রতিরোধী এইচপিভি টিকাদান কর্মসূচি উপলক্ষে ২৩অক্টোবর ২০২৪খ্রি: সকাল ১০.০০ঘটিকা পিটিআই, বগুড়া সভাক্ষে অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয় ।
অবহিতকরণ সভায় সভাপতিত্ব করেন মুহা: মাহফুজার রহমান, সিনিয়র তথ্য অফিসার, বগুড়া। প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ডা. মোহাম্মদ শফিউল আজম, সিভিল সার্জন, বগুড়া বিশেষ অতিথি বক্তব্য রাখেন মো: হযরত আলী, জেলা শিক্ষা অফিসার, বগুড়া আফরোজা সুলতানা,সুপারিনটেনডেন্ট, পিটিআই, বগুড়া ডা: সাজ্জাদ-উল-হক ,মেডিক্যাল অফিসার ,সিভিল সার্জন অফিস, বগুড়া ।
সভায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এবং জনবসতি এলাকায় এইচপিভি টিকাদান কার্যক্রম সম্পর্কে প্রচারাভিযান এবং টিকা রেজিস্ট্রেশন জোরদার করার জন্য জেলার জেলার ১২টি উপজেলা থেকে আগত স্কাউট, গার্লস ইন স্কাউট সদস্য ও রেডক্রিসেন্ট প্রতিনিধিদের অরিয়েন্টেশন দেয়া হয়।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে জরায়ুমুখ ক্যান্সারের কারণ, লক্ষণ এবং প্রতিকারে এইচপিভি টিকা গ্রহনে গুরুত্ব উল্লেখ করে বক্তব্য রাখেন। সাধারণত নারীরা যে সকল ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে থাকেন বৈশ্বিক ভাবে তন্মধ্যে জরায়ুমুখ ক্যান্সার চর্তুথ সর্বোচ্চ। প্রতিবছর বিশ্বের ছয় লক্ষাধিক নারী জরায়ুমুখ ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। যার মধ্যে প্রায় তিন লক্ষ বিয়াল্লিশ হাজার জন মৃত্যুবরণ করে থাকেন।
এর প্রায় ৯০% মৃত্যুই বাংলাদেশের মত উন্নয়নশীল বা স্বল্পোন্নত দেশে ঘটে থাকে। বাংলাদেশী নারীদের ক্ষেত্রে জরায়ুমুখ ক্যান্সার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। প্রতি বছর বাংলাদেশে প্রায় পাঁচ হাজার নারী মৃত্যুবরণ করেন জরায়ুমুখ ক্যান্সারে।
জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধের ওপর গুরুত্ব আরোপ করে বাংলাদেশ সরকার সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচিতে এইচপিভি টিকা সংযোজন করেছে। আগামী ২৪ অক্টোবর ২০২৪ তারিখ হতে জেলায় বিভিন্ন স্কুলে এবং এলাকায় ইপিআই কর্তৃক ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী কিশোরীদের বিনামূল্যে জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধী এইচপিভি টিকাদান কর্মসূচি শুরু হতে যাচ্ছে। ঢাকা বিভাগ ব্যতীত সাতটি বিভাগের বিভিন্ন জেলায় এইচপিভি টিকাদান কর্মসূচি চলবে।